এ বছরই ঘূর্ণিঝড় আম্পানে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিলো কলকাতা। বিধ্বস্ত হয়েছিলো বাংলাদেশের অনেক উপকূলীয় এলাকাও। সে রেশ যেতে না যেতে সাগরে আবারো জেগে উঠেছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘গতি’।
সপ্তাহখানেক আগেই এই উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দফতরগুলো। অবশেষে তাই সত্য হলো। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টার ৬৫ কিলোমিটার।
সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে আরও শক্তিশালী রূপ নিয়ে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’। তবে গতিপথ পরিবর্তন করলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলেও আঘাত হানতে পারে গতি। সঙ্গে হবে ভারী বৃষ্টিপাত।
আন্দামান সাগর থেকে এই নিম্নচাপ এখন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শক্তি সঞ্চয় করে এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস।
এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সরাসরি এই ঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও উড়িশ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রে রোববার ও সোমবার প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্দামান-নিকোবরে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই দু’দিন আন্দামান সাগর থেকে বঙ্গোপসাগরের একাংশ উত্তাল থাকবে। সে কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িশ্যা ও আন্দামান উপকূলের জেলেদের এই সময়ের মধ্যে সাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে ভারত। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’র ব্যাপারে এখনো কোনো সতর্কতা বা বার্তা দেয়নি বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।