পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে মানুষের দর্শন করা বা প্রবেশ প্রায় নিষিদ্ধ! এরকম বেশ কিছু জায়গা আছে। তার পেছনে কারণটা কোনো ঐতিহাসিক তথ্য বা বিপদের আশঙ্কা হতে পারে। এখানে এরকমই কিছু নিষিদ্ধ এলাকার তালিকা দেওয়া হল। এই জায়গাগুলো সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকারক মনে করা হয়। এর ফলে এখানে প্রবেশ প্রায় মানা।
স্ভালবার্ড সিড ভল্ট
এটা এক অতি প্রয়োজনীয় জায়গা, নরওয়ের প্রত্তন্ত এক দ্বীপে। খবর অনুযায়ী, এখানকার সুরক্ষা ব্যবস্থা চরম। ভল্ট প্রায় ১২০ মিটার লম্বা। এখানে পৃথিবীর সব রকমের বীজের সংরক্ষণ করা হয়েছে। যদি কোন চরম সঙ্কট দেখা দেয়, তাহলে এর ব্যবহার করা যাবে এই পরিকল্পনায়।
ভ্যাটিকানের গোপন নথিপত্র
বাছাই করা অভিজাত কিছু মাত্র ভ্যাটিকানের সদস্য এই অনন্য গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারে। শয়তানের সাথে যোগ স্থাপন, অন্য গ্রহের বিভিন্ন রুপ ও প্রাচীন মায়া সম্পর্কিত তথ্য – এখানে সব গোপন বই ও তথ্য রাখা আছে। বেশ গা ছমছমে ব্যাপার, তাই না?
পাইন গ্যাপ
শুধু একটা এরিয়া ৫১ আছে ভেবে অস্ট্রেলিয়ার পাইন গ্যাপ এলাকাটা ভুলে যাবেন না। খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় গোপন তথ্য (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্ট এজেন্সি) ও অস্ট্রেলিয়ান সরকার এই এলাকাটার পর্যবেক্ষণ সর্বদা করে চলেছে। এই জায়গার ওপর দিয়ে কেউ বিমান নিয়েও উড়ে যেতে পর্যন্ত পারেনা।
হ্যাভেন কো
ইংল্যাণ্ডের সংলগ্ন একটা পুরোন বিমান-বিরোধি এলাকায় এই স্থানটির সৃষ্টি হয় ২০০০ সালে। এই নিষিদ্ধ জায়গায় বহু প্রতিষ্ঠানের ভিপিএন, সার্ভার, এনক্রিপশান কোড ও প্রক্সি রাখা আছে। কারোর যদি হ্যাভেন কো-তে কাজ করতে হয়, তাহলে কোন রকমের স্প্যাম, হ্যাকিং বা শিশু সংক্রান্ত কোন অশ্লীল জিনিস থাকলে চলবে না।
এক নম্বর এয়ার ফোর্স
এটা পৃথিবীর অন্যতম এক গোপনীয় স্থান! পৃথিবীতে কারোর এখানে প্রবেশের অধিকার নেই। কেউ জানেই না ওই বিমানের ভেতরে আছেটা কি! খুবই উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন সুরক্ষা ব্যবস্থায় বেষ্টিত এই বিমানে প্রবেশ করতে গেলে আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সুরক্ষা ব্যবস্থার তালিকায় অন্তত এক বছর থাকতে হয়। অবিশ্বাস্য!!
স্নেক আইল্যাণ্ড (সাপের দ্বীপ)
এটা পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক জায়গা! পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের বাস এই দ্বীপে। এই বিষ এমনি যে মানুষের মাংস পর্যন্ত গলিয়ে দিতে পারে। এতে যদি আপনি ভয় না পান, তাহলে আপনি যে আর কিসে ভয় পাবেন কে জানে!
কোকা-কোলা ভল্ট
আমাদের সবার প্রিয় এই ঠাণ্ডা পানীয়ের গুপ্ত ফর্মুলা রাখা আছে এই গোপন দেরাজে। শুধু অল্প কিছু কর্মী যারা ওখানে কাজ করে, তারাই পারে এই জায়গায় প্রবেশ করতে।
ফোর্ট নক্স
আমেরিকায় এই জায়গাটিতে দেশের সব মূল্যবান জাতীয় সম্পদ সংরক্ষিত আছে। প্রায় ৩০,০০০ হাজার সৈন্য দ্বারা পাহাড়ায় রাখা এই জায়গাটি মনে করা হয় আমেরিকার সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা।
গোল্ড ভল্ট – ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যাণ্ড
সোনা রাখার এই দেরাজে প্রায় ৫০০০টন সোনা রাখা আছে! জায়গাটি ইংল্যাণ্ডে। এখানে প্রবেশ করতে হলে বোমা-রোধক একটা দরজা পেরোতে হয়। সেটা পার হতে হলে ব্যবহৃত হয় উচ্চ-মানের কন্ঠস্বর চেনার মত এক ব্যবস্থা।
রুম ৩৯
রুম ৩৯-কে “কোর্ট অফ ইকনমি” বলেও আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। এই জায়গাটার সৃষ্টি ১৯৭০ সালে। উত্তর কোরিয়ার কিম জুং-উনের জন্য সব বিদেশি মুদ্রা কেনাকাটা এখানের করা হয়ে থাকে।
– ইন্টারনেট
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।