সিলেট মুরারী চাঁদ কলেজ (এমসি কলেজ) ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ছাতক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া সাইফুর রহমান (২৮) সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে। সে এমসি কলেজের ৫ম ব্লক হোস্টেলে থাকতো।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সকালে ছাতক খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় থানার এসআই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পরে শাহপরাণ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে এ ঘটনায় ছয় জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী।
মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল হাসান ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি লম্বা দা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার জিআই পাইপ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শাহপরাণ থানা পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যা¤পাস থেকে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দ¤পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ২০ বছর বয়সী গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার-ওসিসিতে ভর্তি করে।