শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে এদিন তিনি দেশে ফেরেন।
বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বার্তা একটাই, আমাদেরকে এখন গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেইভাবে আমরা আমাদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আপনার আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
জাতিসংঘের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার সফরসঙ্গি হয়েছিলাম। সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের এই সফর সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।
নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার এই সব ঘটনা তৈরি করা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গি হিসেবে নিউইয়র্ক যান মির্জা ফখরুল। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
