আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি বিশাল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং আক্রমণটাও দারুণ। টুর্নামেন্টের শুরুর উইকেট তাই বেশ প্রাণবন্তও। এই মাঠে বড় রান করা একটু কঠিনই। কিন্তু রোহিত শর্মার মতো বিশ্বমাপের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দিনে সব সমীকরণ বিরুদ্ধে যেতে পারেন।
গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও কলকাতার ম্যাচে আগে ব্যাট করা মুম্বাইকে ৫ উইকেটে ১৯৫ রান করতে সাহায্য করেছে অধিনায়ক রোহিতই। সেই রানটা তাড়া করতে গিয়ে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানে করে কলকাতা।
গতবারের চ্যাম্পিয়নরা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে এই মাঠেই ১৬২ রান করে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। প্রথম দিনের ভুলটা আজ করেনি মুম্বাই। এই উইকেটে টপ অর্ডারে একজন টিকে গেলে তাঁকে লম্বা ইনিংস খেলতেই হয়। আজ রোহিতই সেই দায়িত্বটা নিয়েছেন। শুরুতে সময় নিয়েছেন। পরে পুষিয়ে দিয়েছেন ৬টি ছক্কা ও ৩টি চারে সাজানো ৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস দিয়ে।
আরব আমিরাতের বড় বাউন্ডারির মাঠ এই মাঠে আইপিএলের শুরু থেকেই ছক্কার সংখ্যা তুলনামুলকভাবে কম। কিন্তু আজ বিশাল বাউন্ডারি পাত্তা দেননি রোহিত। সহজেই পার করেছেন ৬ বার।
বিশাল রান তাড়া করে গিয়ে কেমন জানি এলোমেলো মনে হয়েছে কলকাতাকে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ বলেই হয়তো এত জড়তা। দুই ওপেনার শুভমান গিল ও সুনীল নারাইন সাধারণত দ্রুত রান তোলায় অভ্যস্ত। আজ দুজনই খেলেছেন ১০০-র নিচে স্ট্রাইক রেট নিয়ে। আউট হয়েছেন বল খরচা করে। দুজনের সামনে চ্যালেঞ্জটাও সহজ ছিল না। জেমস প্যাটিনসন, ট্রেন্ট বোল্ট নতুন বলটা ব্যবহার করতে জানেন।
ওপেনারের কাছ থেকে দ্রুত রান পেতে অভ্যস্ত কলকাতা দীনেশ কার্তিক ও নিতীশ রানায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল। এই দুজনের পরেই আসবেন এউইন মরগান ও আন্দ্রে রাসেল। ভিত গড়তে পারলে এই দুই বিদেশি যে কোনো লক্ষ্য তাড়া করতে পারবে। এই ভাবনা থেকেই হয়তো কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করেছেন কার্তিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুম্বাইয়ের মাঝের ওভারের বোলিংয়ে টিকতে পারেননি কেউই।
প্যাটিনসন, বোল্ট দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। রাহুল চাহার ও পোলার্ডও হাত ঘুরিয়ে পেয়েছেন দুই উইকেট। ব্যাটিংয়ে রোহিতের পর বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্স মুম্বাই জয় পায় ৪৯ রানের।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।