বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ রাজধানীর স্বনামধন্য দুটি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা-শিক্ষার্থীরা। তাই কুকুর তাড়াতে উচ্চপর্যায়ের সভা ডাকা হয়েছে। সভায় কুকুরভীতি বন্ধে করণীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে এক নির্দেশনায় দেখা যায়, ধানমন্ডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভেতর কুকুরের অবাধ বিচরণ ও শিক্ষার্থীদের কুকুরভীতি অবস্থা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদের সভাপতিত্বে আগামী ১০ অক্টোবর দুই বালিকা বিদ্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে স্কুলের ভেতর থেকে কীভাবে কুকুর নিধন করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কুকুরের উৎপাতের বিষয়টি স্বীকার করে ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহফুজা হোসানী জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন স্কুলের ভেতর কুকুর বিচরণ করছে। নানাভাবে চেষ্টা করেও কুকুরগুলো তাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কুকুর তাড়াতে সির্টি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থাকে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।
তিনি বলেন, স্কুল চলাকালীন ছোট বাচ্চাদের সামনে দৌড়ে আসে কুকুর। এতে করে বাচ্চারা ভয় পায়। বড় মেয়েরাও অনেক সময় কুকুর দেখে ভয়ে দৌড়ে যায়। এতে পুরো স্কুলের মধ্যে কুকুরভীতি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, কুকুরের উৎপাতে স্কুলের সবাই আতঙ্কে রয়েছে। স্কুলের মাঠের মধ্যে কুকুর দৌড়ে এসে মেয়েদের ভয় দেখায়। অনেক সময় আবার দল বেঁধে কুকুরগুলো মেয়েদের সামনে এসে চিৎকার করে। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, কুকুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১০ অক্টোবর স্কুলে সভা ডাকা হয়েছে।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমলে নিয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।