গতকালের ছোট একটি খবর। সেই খবরে বাংলাদেশে পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়ে গেল। আর খবরটি হচ্ছে পেঁয়াজের রফতানি মূল্যবৃদ্ধি। তবে এই খবর আমাদের দেশের নয়, ভারতের। ভারত আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বেঁধে দিয়েছে। সেই বেঁধে দেওয়া দাম হচ্ছে, টনপ্রতি ৮০০ ডলার। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মূল্যের কমে রফতানি করা যাবে না। ইতিমধ্যে গত আগস্ট থেকে পেঁয়াজের রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন এই সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে এই মূল্য বেঁধে দিয়েছে। গত শনিবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
এদিকে ভারতের পেঁয়াজের রফতানির মূল্যবৃদ্ধির খবরে দেশে পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে গেছে। কেজিতে ভারতীয় বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। পাইকারি বাজারে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে মণ প্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এখনও ভারতের পেঁয়াজ দেশে আসেনি। এরপরও দাম বেড়েছে।
গত শনিবার পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু হঠাৎ গতকাল রোববার থেকে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। আবার কোথাও কোথাও এরচেয়ে বেশি দাম নিচ্ছে। খাতুনগঞ্জ আড়তদার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। আর পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এই কারণে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে। তবে ক্যাবের সহ-সভাপতি নাজের হোসেন জানান, ভারতের বেশি দামের পেঁয়াজ তো এখনও আসেনি। কিন্তু এখন বাড়ল কীভাবে? সিন্ডিকেটের কারণেই এই দাম বাড়ানো হয়েছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।