ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব-নিকাব পরা শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বোরকা, হিজাব বা নিকাব পরা মুসলিম শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার। কারো ন্যায্য অধিকারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কোন শিক্ষার্থীকে হিজাব বা নিকাব খুলতে বাধ্য করা যাবে না।
উল্লেখ্য গত ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক নোটিশে বিভাগের সব প্রেজেন্টেশন, টিউটোরিয়াল, মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং ভাইভাতে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, বাংলা বিভাগের এই নোটিশটি ছিল ধর্মীয় স্বাধীনতার চূড়ান্ত পরিপন্থী এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকে তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ এ আইন বলবৎ থাকলে অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে। ধর্মীয় ও মানবতা বিরোধী এ রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করার পরেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
আল্লামা আতাউল্লাহ আরো বলেন এমনিতেই জিনা, ব্যাভিচার, সমকামিতাসহ উলঙ্গপনা ও বেহায়াপনায় দেশ সয়লাব হয়ে গেছে। আইন করে বোরকা ও হিজাব পরা বন্ধ করলে নারিরা ইজ্জত রক্ষার শেষ অবলম্বনটুকু হারাবে। এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। ৯০ ভাগ মুসলমানদের বাংলাদেশে কোরআন সুন্নাহ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের চিন্তা চেতনা অক্ষুন্ন রেখেই সিদ্ধান্ত দেয়া উচিত। প্রয়োজনে মুসলিম ছাত্রীদের পরিচয় সনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। অথবা নারী কর্মচারী কিংবা নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে আলাদা রুমে পরিচয় সনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ইতিপূর্বে যারা মুসলিম শিক্ষার্থীদের কে জোরপূর্বক হিজাব খুলতে বাধ্য করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এদেশের তৌহিদী জনতা ইসলামী বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।