পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। তাই স্বনির্ভর দেশ গড়তে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কারিগরি প্রতিষ্ঠান ‘আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির’ সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির কারিগরি ও কর্মবান্ধব শিক্ষামুখী বিভিন্ন প্রোগ্রামের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠান নুতন ধারার কর্মবান্ধব শিক্ষাক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি বর্তমান সরকারের গণমুখী বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে কারিগরি ও কর্মবান্ধব শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।
ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. আবু নাসের জাফর উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ড. নাহিদ ফেরদৌস। সম্মানীত অতিথির বক্তব্য রাখেন আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ ও সিলেটে মরহুম বিশিষ্টজনের স্মরণে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহযোগী অধ্যাপক আবু ছয়ীদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।