লাখ টাকা পেরিয়ে গেলো স্বর্ণের ভরি। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এখন এক লাখ ৭৭৭ টাকা। তবে গয়না হিসেবে স্বর্ণ কিনতে গেলে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ও ৩০০ টাকা মজুরি যোগ করে দিতে হবে আরও প্রায় ৯ হাজার টাকা। ফলে স্বর্ণ এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। যারা স্বর্ণ এখন কিনছেন, তারা নিতান্তই বাধ্য হয়েই।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দামসহ নানা কারণে স্বর্ণের এই মূল্যবৃদ্ধি। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বর্ণের দাম বাড়ায় তাদের বিক্রি ও লাভ দুটোই কমেছে।
বৃহস্পতিবার দেশে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম ছুঁয়েছে স্বর্ণ। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির ঘোষণা অনুযায়ী লাখ পার হলো ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে গেলেও গুনতে হবে ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা। ১৮ ক্যারেটের দাম ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হলেও ভরি প্রতি দাম পড়বে ৬৮ হাজার ৭০০ টাকা। আর এ দাম কার্যকর হয়েছে শুক্রবার থেকে।
বাজুসের নির্ধারিত এই দামের সাথে যোগ হবে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট। আর গ্রাম প্রতি ৩০০ টাকা মজুরি। যে মানের স্বর্ণই কিনুন, এই হিসেবে আরও বাড়তি যোগ হবে প্রায় ৯ হাজার টাকা।
পিওর গোল্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিত্তাফুর রহমান বলেন, দাম বাড়ার কারণে স্বর্ণের বিক্রি কমেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে ব্যবসায় তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সহ-সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি , রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, রিজার্ভ হিসেবে বিভিন্ন দেশের স্বর্ণের মজুদ বাড়ানো, ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণের বিনিময়ে পণ্য কেনা; এমন প্রভাবেই উত্তাল স্বর্ণের বাজার।
২৩ বছর আগে ২০০০ সালে স্বর্ণের ভরি ছিলো ছয় হাজার ৯০০ টাকা। ২০১০ সালে ৪২ হাজার ১৬৫ টাকা। ২০২০ সালে এসে ভরি হয় ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। পরের ইতিহাসটা সবার জানা।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।