ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় শেষ শুক্রবার ছুটির দিন ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। এত লোক সমাগমে বিক্রেতা, মেলার আয়োজক ও প্রবেশ টিকিটের ইজারাদারও ছিলেন খুশি। বিশাল মূল্য ছাড় দেওয়া স্টলগুলোতেই বেশি ভিড় করেছিলেন ক্রেতারা। তবে অনেক স্টল মালিক জানান, মেলায় লোকসমাগম রেকর্ড ভাঙলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে গত শুক্রবারের তুলনায় কম।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, মেলার শেষ শুক্রবার হিসেবে গতকাল সাড়ে তিন থেকে চার লাখ লোকের সমাগম ঘটেছে।
বিআরটিসির ট্রাফিক অফিসার জাফর আহম্মেদ জানান, ছুটির দিন হওয়ায় বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী-ক্রেতার আগমনের কথা চিন্তা করে বিআরটিসির ১৫২টি শাটল বাস চালু রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ২১টি কাউন্টারে বাসের টিকিট বিক্রি হয়েছে। ছয়টি বিকাশ এজেন্ট অনলাইনে টিকিট বিক্রি করেছে।
মেলার গেট ইজারাদার আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ছালাউদ্দিন ভুইয়া জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক লাখ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আরো ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মিরপুর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেলায় এসেছিলেন রেজওয়ানা পারভিন। তিনি বলেন, একটু দূরে হওয়ায় আসতে অসুবিধা হয়েছে। তবে আসার পর পণ্য দেখে ও কম দামে কিনতে পেরে খুশি।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে মেসার্স খান ট্রেডার্সের মালিক মঈনুল ইসলাম, মদিনা এন্টারপ্রাইজের মালিক হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন হলেও তাঁদের স্টলের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৭-৮ ফেব্রুয়ারি। এতে ব্যবসায় পিছিয়ে গেছেন তাঁরা। শুক্রবার যে পরিমাণ লোকের সমাগম হয়েছে সে অনুযায়ী পণ্য বিক্রি হচ্ছে না।