মিয়ানমারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ বলেছেন, বাংলাদেশ আশা করে মিয়ানমার তাদের ভুল বুঝতে পারবে এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবে।
ঢাকা আহসানিয়া মিসনে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু আমরা সংঘাত চাই না, তাই মিয়ানমারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পথ খুঁজে বের করার আমাদের প্রচেষ্টা চলছে। আমরা সবকিছু করব, প্রয়োজনে বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাব।’
মিয়ানমারের দিক থেকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে পড়া গোলাবারুদ নিয়ে সরকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আমাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাতে বলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখনই যুদ্ধ চান না, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তাদের সীমানার মধ্যেই থাকুক। আমাদের মাটিতে যা ঘটছে আমরা বাইরে থেকে তার প্রতিবাদ করছি।’
কামাল বলেন, মিয়ানমার কখনোই তার প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকে না। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিকভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা এখানে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি মিয়ানমার শুধু রোহিঙ্গাদের সঙ্গেই নয়, থাইল্যান্ড, চীন ও মিজোরামে তাদের অনেক জাতিগত গোষ্ঠীর সঙ্গেও লড়াই করছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে আরাকান আর্মি নামে একটি বিদ্রোহী দল সেখানে যুদ্ধ করছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার ও আরাকান আর্মির মধ্যে কখনো কখনো ভালো সম্পর্ক দেখা গেছে, কখনো তা যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তারা গোপন বিষয়টি জানে। অবশ্যই তাদের যুদ্ধ তাদের সীমানার মধ্যে হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের কাছে শুন্য রেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে।
শুক্রবার একটি ক্যাম্পে মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া গোলা বর্ষণে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে উল্লেখ করে কামাল বলেন, বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।