শ্রীলঙ্কা শুরুতে ব্যাট হাতে গড়ে লড়াকু পুঁজি। পরে বল হাতে করে ক্ষুরধার বোলিং। তাতেই পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে লঙ্কানরা। এনিয়ে ষষ্ঠবারের মতো মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্ব ছিনিয়ে নিলো দাসুন শানাকার বাহিনী।
লক্ষ্যটা ছিল ১৭১ রান। শ্রীলঙ্কার আগুনে বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শেষটা হলো না দুর্দান্ত। ১৪৭ রানেই গুটিয়ে গেছে বাবর আজমের দল।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালোই করে ছিল পাকিস্তান। ৩ উইকেটে তুলেছিল ৯৩ রান। এরপরই মড়ক লেগে যায ব্যাটিং লাইন আপে। ১২৫ রানে খুইয়ে ফেলে তারা নবম উইকেট। মানে পরের ছয় উইকেটে আসে মাত্র ৩২ রান।
ফিফটি হাঁকান মোহাম্মদ রিজওয়ান। তারকা এ ওপেনার ৪৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলেন ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ইফতিখার আহমেদ যোগ করেন ৩২ রান। ১৩ রান আসে হারিস রউফের ব্যাট থেকে।
চার উইকেট শিকার করেন প্রমোদ মাদুশান। তিন উইকেট পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দুটি উইকেট নেন চামিকা করুণারত্নে।
শুরুতে বল হাতে দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তান। তবে শেষ দিকে ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়েছে দাসুন শানাকার দল। বাবর আজমদের বিধ্বংসী বোলিং সামলে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেট হারিয়ে গড়ে ১৭০ রানের লড়াকু পুঁজি।
লড়াই মাঠে গড়াতেই আগুনে বোলিং শুরু করে পাকিস্তান। চেপে ধরে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। দলীয় ২ রানে কুশল মেন্ডিসের উইকেট ভেঙে ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসিম শাহ। তারকা এ ওপেনার ফেরেন শূন্য হাতে। অন্য ওপেনার পাথুম নিসানকাও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৮ রানে হারিস রউফের বলে বাবর আজমের হতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
তবে বিপদের সময় দলের ব্যাটিয় লাইন-আপের হাল ধরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সতীর্থদের সাহস যুগিয়েছিলেন বটে। তবে স্কোরটা বড় করতে পারেননি। অন্য প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত। দলীয় স্কোর ৫৮ রান ছুঁতেই লঙ্কানরা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। ২৮ রান নিয়ে ইফতিখার আহমেদের বলে তারই হাতে ক্যাচ সঁপে দিয়ে ধনাঞ্জয়া ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। তার সঙ্গে সমান তালে ব্যাট চালান ওয়ানিন্দু হাসারাঙা। দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩৬ রান। ফেরার আগে ষষ্ঠ উইকেটে ভানুকা রাজাপাকসের সঙ্গে ৩৬ বলে গড়েন ৫৮ রানের পার্টনারশিপ।
হাসারাঙ্গা ফিরলেও ব্যাট হাতে লড়াই করে যান ম্যাচসেরা ভানুকা রাজাপাকসে। তাকে সঙ্গ দিয়ে যান চামিকা করুনারত্নে। ভানুকা রাজাপাকসে পেয়ে যান দুরন্ত অর্ধ-শতকের দেখা। ৪৫ বলে খেলেন ৭১ রানের হার না মানা অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। যাতে ছিল ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কার মার। ১৪* অপরাজিত থেকে চামিকা করুনারত্নে। ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে লঙ্কান পুঁজিও বেড়ে যায় প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি।
পাকিস্তানের হয়ে পেস বলে ঝড় তুলে একাই ৩ উইকেট শিকার করেন হারিস রউফ। এজন্য তিনি খরচ করেন ২৯ রান। একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।