শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রথম চালানে ১৬ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে চারটি ট্রাকে করে এসব ইলিশ পাঠানো হয়েছে বলে বেনাপোল বন্দর মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান।
বেনাপোল বন্দর মৎস্য কোয়ারেন্টিন পরিদর্শক আসওয়াদুল আলম বলেন, ভারতে পাঠানো এই ইলিশের রপ্তানিকারক বরিশালের ‘মাহিমা এন্টারপ্রাইজ’। আর আমদানিকারক ভারতের ‘এসআর ইন্টারন্যাশনাল’। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে দুই হাজার ৪৫০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি করতে পারবে অনুমোদন পাওয়া ৪৯টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫০ টন ইলিশ রপ্তানির শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন পেয়েছে।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখা থেকে এ বিষয়ে নির্বাচিত রপ্তানিকারকদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের এর ঢাকার ১৮টি, চট্টগ্রামের তিনটি, যশোরের নয়টি, নড়াইলের একটি, খুলনার তিনটি, বরিশালের তিনটি, পাবনার নয়টি, নওগাঁ একটি ও সাতক্ষীরার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ইলিশের প্রথম চালান গেল ভারতে
রপ্তানির অনুমোদনের চিঠিতে বলা হয়, সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো রকম বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রপ্তানির এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।
আবার সরকার প্রয়োজন মনে করলে রপ্তানির এই আদেশ যেকোনো সময় বন্ধও করতে পারবে বলে অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছে।
পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় তা রপ্তানি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ সরকার।
২০১২ সালের আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হতো। ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পর ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার।
ইলিশের প্রথম চালান গেল ভারতে
ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুর্গোৎসবে ভারতের বাঙালিদের এই মাছের স্বাদ দিতে বিশেষ বিবেচনায় গতবছর ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমোদন দেয় সরকার। ২০২০ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার ৪৫০ টন এবং ২০১৯ সালে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এরপর ফের ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকে।
১ অক্টোবর থেকে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে।