করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে টিভি পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেতা কে এস ফিরোজ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর ছিলেন।
বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে এই গুণী অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সিএমএইচে নয় দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন কে এস ফিরোজ। সাত দিন আগে তার করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
কে এস ফিরোজের মেয়ে ব্যারিস্টার রাবিয়া জাহান ফিরোজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গতকাল দুইবার বাবার কার্ডিয়াক শকড হয়। এরপর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে চিকিৎসকরা ওনাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
বাদ জোহর জানাজার পর বনানী কবরস্থানে সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত জায়গায় থাকে সমাহিত করা হবে উল্লেখ তিনি বলে, ‘দাফনের আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ওনার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’
বরিশালে জন্ম নেওয়া কে এস ফিরোজ ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড লাভ করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন।
নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও কে এস ফিরোজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। শুরুটা করেছিলেন মঞ্চনাটক দিয়ে। টেলিভিশনে প্রথম অভিনয় করেন ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। তার প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। আরও অভিনয় করেছেন ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।