দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ আল-হামাদ বলেন, গৃহকর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া আছে এমনটি আরও ১৬টি দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে ওই আটটি দেশ।-খবর গালফ নিউজের
যেসব দেশ থেকে সৌদি আরবের গৃহকর্মী নেওয়ার অনুমোদন আছে, সেগুলো হলো—ফিলিপিন্স, নাইজার, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, মৌরিতানিয়া, উগান্ডা, ইরিত্রিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মাদাগাসকার, উজবেকিস্তান, কম্বোয়িা, মালি ও কেনিয়া।
সম্প্রতি সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজার পরিচালনা করার কথা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গেল বছর সৌদিতে এক বাংলাদেশি গৃহকর্মীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এক গৃহকর্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড ও গৃহকর্তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া গৃহকর্মী আবিরন বেগমকে হত্যার মামলায় মোট তিনজনকে আসামি করা হয়েছিল।
দীর্ঘ সময় সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ ছিল। পরে ২০১৫ সাল থেকে নারী শ্রমিকদের পাঠানো শুরু হয়। যার বেশিরভাগই ছিলেন গৃহকর্মী। আসলে যখন থেকে নারী শ্রমিকরা যাওয়া শুরু করে, তার পর থেকেই নির্যাতনের অনেক অভিযোগ আসতে থাকে। অনেক নারী বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির থেকে জানা গেছে যে, গত পাঁচ বছরে ৫ শতাধিক নারী শ্রমিকের অপমৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব অপমৃত্যুর ঘটনার কোনটি আদালত পর্যন্ত গড়ায় না।
অভিবাসন বা নারী শ্রমিকদের নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা এসব ঘটনা প্রতিরোধে তারা সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং দুই দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার কথা বলছেন।
এখন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে সৌদি শ্রমবাজারে নারী-কর্মী বন্ধের পক্ষে যেমন অনেকে আছে, আবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে নারীদের পাঠানোর পক্ষেও মতামত দেখা যাচ্ছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।