৫ সরকারি কর্মকর্তাকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওএসডি করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। গত ৪ ও ৫ জুলাই এই পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়।
ওএসডি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপ-সচিব মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের সাবেক ইউএনও। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
এ ছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হাসান শিপলুকে ওএসডি করা হয়েছে। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদরের সাবেক ইউএনও ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. লিয়াকত আলী সেখও ওএসডি হয়েছেন। তিনি বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে ছিলেন।
এ ছাড়া বরগুনার আমতলীর ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান এবং মুন্সীগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনকে ওএসডি করা হয়েছে।
এই পাঁচ কর্মকর্তা ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মে জড়িয়েছিলেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন মানুষদেরকে গৃহ উপহার দিয়ে পুনর্বাসিত করা। আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগের পর তদন্ত করা হয়, যা চলমান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেটাকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছেন সেটাতে যখন আমরা ব্যর্থ হই তখন সেটা আমাদের ব্যর্থতা। এরই মধ্যে নিম্নমানের কাজ ও ঘর বরাদ্দে অনিয়মসহ আরো নানা অভিযোগ উঠেছে ২২টি জেলার ৩৬ উপজেলার বিরুদ্ধে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।