প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে তার সরকার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে উদীয়মান চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল কো-অপারেশন: অ্যাকশন টুডে ফর ফিউচার জেনারেশন’ শীর্ষক হাই-লেভেল ভার্চ্যুয়াল ইভেন্টে বুধবার এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বে ডিজিটাল সেবার শক্তি কতটা তা কোভিড-১৯ মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে। আর সেটা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সব মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল একাডেমি ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ডিজিটাল সেবার শক্তি যেমন প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি বিশ্বে ডিজিটাল বৈষম্যের বিষয়টিও উন্মোচিত হয়েছে। বিশ্বের অর্ধেক মানুষই মৌলিক ইন্টারনেটের সুবিধা পাচ্ছে না। এই বৈষম্য অবশ্যই আমাদের দূর করতে হবে।
ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকাশ সহজতর করা এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ সমাজ পরিবর্তন করা সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এটি সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। আর দিন বদলের এই যাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে আমরা আমাদের তরুণদের রাখতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে তার সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১০৩. ৪৮ মিলিয়ন। জনগণকে চেঞ্জ মেকার হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে আমাদের ডিজিটালাইজেশন।
এ সময় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে আছি।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।