শিক্ষার্থীদের কাপড়চোপড়, টিফিন বক্স ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এক হাজার করে টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসে সবার জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে, এ জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শিক্ষার্থীদের আমরা এক হাজার করে টাকা দেব, যাতে করে তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই দিনের অধিবেশন শুরু হয়।
তিনি বলেন, কোনো মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেই আমরা এই ব্যবস্থাটা নিয়েছি। অর্থনীতির চাকাটা যাতে গতিশীল থাকে আর সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। কারণ দেশের মানুষের জন্যই আমাদের এই রাজনীতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সাধ্যমতো মানুষের পাশে আছি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন করোনাভাইরাস মোকাবেলা, ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য কাজে যেসব মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা ছিল, তারা কাজ করেছে। আমাদের কিছুদিন থমকে যেতে হয়েছিল। সব কিছু প্রায় বন্ধ অবস্থায় ছিল। সব কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও সরকার কিন্তু বসে থাকেনি। যার কারণে আমরা রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের বিদেশ যাওয়া নেই, বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি নেই। এসব কারণে আমাদের বেশ সাশ্রয় হয়েছে। সেটা আমরা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে পারছি। মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাঝখানে কিছুদিন রপ্তানি একটু থমকে গেলেও আমাদের আমদানি-রপ্তানি এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে গার্মেন্টসগুলো যা চেয়েছে আমরা সেইভাবে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এই করোনা মোকাবেলায় মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা আমরা চালিয়েছি, এ জন্যই আমরা মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমরা কিন্তু খরচের দিকে তাকাইনি। চিকিৎসাসেবা যাতে দিতে পারি, সেই ব্যবস্থা, যা যা প্রয়োজন আমরা সেটা সংগ্রহ করা এবং দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যেখানে যেখানে হাসপাতাল করা দরকার, চিকিৎসা, কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা, সবই করেছি। সে জন্য পানির মতো টাকা খরচ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যদি তুলনা করি, আমাদের দেশে যে ঘনবসতি, যে সংখ্যা, সেখানে এ কাজগুলো করা অনেক কঠিন ছিল। যা উন্নত দেশেও হয় না সেটা মাথায় রাখতে হবে। প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে অনেক দেশ গবেষণা করছে। আমরা সব দেশেই আবেদন দিয়ে রেখেছি, টাকা বরাদ্দ দিয়ে রেখেছি। যেখান থেকে ভালো পাওয়া যায়, আমরা সেটা নেব এবং দেশকে করোনামুক্ত করব বলেও জানান তিনি।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।