আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি দেশ, রাষ্ট্র ও জাতি গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক। সাংবাদিকতা শুধু একটা পেশা নয়। সাংবাদিকতা হলো ব্রত।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংবাদিক জহুর হোসেন উদযাপন কমিটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে সাংবাদিকতা পেশা এমন ছিল না। এখন এমন কিছু সাংবাদিক আছেন যারা তিন-চার লাখ টাকাও বেতন পায়।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশে কত হাজার সাংবাদিক আছে তা সাংবাদিকরা নিজেরাই বলতে পারেন না। আমিতো আরো পারি না। এখন কারা সাংবাদিক সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে সাংবাদিক না হয়েও গায়ে সাংবাদিক লাগিয়ে এই পেশাটার সম্মান নষ্ট করছে। আমরা প্রেস কাউন্সিল ও পিআইবির মাধ্যমে সাংবাদিকদের একটা ডাটাবেজ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছি। তখন ডাটাবেজের ওপর সাংবাদিকদের পরিচয় নির্ধারণ হবে। এখন আমরা সংবাদপত্রকে রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছি। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো অনলাইনের সাংবাদিককে আমরা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানও দিচ্ছি না।
সাংবাদিকদের গুরুত্বের কথা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটি দেশ, রাষ্ট্র ও জাতি গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক। জাতিকে পথ দেখানোর দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। তেমনই সাংবাদিকরাও পারে। বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। তারা আমাদের সামনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে আনেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা তাদের অবদান দেখেছি।
তথ্যমন্ত্রী প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীকে স্মরণ করে বলেন, তিনি (জহুর হোসেন চৌধুরী) একজন লেখক কলামিস্ট সাংবাদিক ছিলেন। তিনি স্বাধিকার আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। সমাজে এমন কিছু সাংবাদিক আছেন যারা লেখনির মাধ্যমে সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচন করেছেন। সমাজের যে দিকে দৃষ্টি যায় না বা যে দিকে তাকানোর প্রয়োজনও মনে করে না সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। এর মধ্যে জহুর হোসেন চৌধুরী অন্যতম। তিনি জাতি গঠনে অনেক ভূমিকা পালন করেছেন।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।