তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে। বিশ্ব বেনিয়াদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাত ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যের ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বিশ্ব বেনিয়াদের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে।
২০৪১ সাল নাগাদ সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সক্ষম হবে বলেও মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অতীতেও সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। এখনও তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির এখন লজ্জায় তো মাথা হেঁট হয়ে গেছে, কী বলে লজ্জা রক্ষা করা যায় সেটি খুঁজে পাচ্ছে না। কিন্তু বিএনপিকে সেতু উদ্বোধনে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, এ সেতু কি উনাদের বাপের, আমরাতো বলি নাই এ সেতু কারো বাপের। আরও বলেছেন, এ সেতু দিয়ে কি স্বর্গে যাব! এ সেতু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের আপামর জনতার জন্য নির্মাণ করেছেন। এ সেতু বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল সাহেবের জন্যও। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগ সরকার কখনো নির্মাণ করতে পারবে না এবং করলেও জোড়াতালি দিয়ে হবে, কেউ ওঠবে না- এমন কথা যারা বলেছিলেন তাদের এখন সেতুতে ওঠার অধিকার আছে কি না। আমরা বলছি আপনারা সানন্দে ওঠুন, তবে আগের বক্তব্যের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান।
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এখনো সারাদেশে আস্ফালন করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি জামায়াত এই অপশক্তি নিয়ে রাজনীতি করছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এ সময় খরচের খতিয়ান বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালে দ্বিতল সেতু নির্মাণ পরিকল্পনায় প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১২০ কোটি ডলার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া হয়েছিল। ডলারের বর্তমান মূল্য ৯৩ দশমিক ১৩ টাকা হিসাবে ৩০০ কোটি ডলারের মূল্য ২৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১১ সালে প্রাক্কলিত ব্যয়ের ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে দেখা যায় খরচ একই জায়গায় রয়ে গেছে। এ ছাড়া ষড়যন্ত্রের কারণেও নিজের টাকায় করতে গিয়ে কয়েক বছর দেরি না হলে এ খরচ আরও কম হতো।
এর আগে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে সরকারের পক্ষে এবং পরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।