মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই জ্যেষ্ঠ নেতার অবমাননাকর মন্তব্যের জবাবে দেশটিতে হামলার হুমকি দিয়েছিল আল-কায়েদা। গোষ্ঠীটির হুমকির পর ভারতজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ চারটি স্থানে আত্মঘাতী হামলার হুমকি দিয়েছিল আল-কায়েদা। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে হামলা চালানোর হুমকির বিষয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়েদার শাখার (একিউআইএস)একটি চিঠি গত ৬ জুন দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। মূলত ওই চিঠিতেই ভারতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আল-কায়েদার হামলার হুমকির সত্যতা যাচাই করে দেখছে।
এ ছাড়া দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা রাজ্য পুলিশকে জনসমাগম বা বিক্ষোভের অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কারণ, এসব জনসমাগম ও বিক্ষোভ হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।’
বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মা এক টেলিভিশন শোতে অংশ নিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। পরে দলটির নয়াদিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালও নূপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন। তাঁদের এ মন্তব্য দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এমনকি অভিযুক্তদের মন্তব্যের জেরে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের মুসলিমরা বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। আর, এর রেশ ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরের বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
অবশ্য এরপরই অনেকটা নড়েচড়ে বসে বিজেপি। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজেপি গত রোববার অভিযুক্ত নূপুর শর্মাকে বরখাস্ত এবং জিন্দালকে বহিষ্কার করা করে। এমনকি পরে বিজেপির এই দুই নেতা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।