জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেনের কবর স্থায়ী করার আকুতি জানিয়েছেন তার স্ত্রী চৈতি ফারহানা রূপা। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
গত ১৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জাতীয় দলের সাবেক প্রতিনিধি রুবেল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। প্রায় ৩ বছর ধরে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। জটিল চিকিৎসাব্যবস্থায় শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ক্রিকেট অঙ্গন রুবেলের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠলেও তার পরিবার এখনও দুঃস্মৃতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না। মৃত্যুর পর ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে রুবেলকে দাফন করা হয় বনানী কবরস্থানে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রুবেলের স্ত্রী চৈতি এসেছিলেন স্বামীর কবরের পাশে। সঙ্গে ছিলেন তাদের একমাত্র ছেলে সন্তান।
রুবেলের কবর জিয়ারতের পর চৈতি কান্নায় ভেঙে পড়েন। বনানী কবরস্থানে কাউকে দাফন করার ২ বছর পর সেখানে নতুন করে কাউকে দাফন করার রীতি রয়েছে। তবে আছে কবর স্থায়ী করার পদ্ধতি, সেক্ষেত্রে প্রায় কোটি টাকার মত খরচ হয়। রুবেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত পরিবারের স্বভাবতই সেই সাধ্য নেই। চৈতির তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, দেশের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটারের কবর যেন স্থায়ী করা হয়।
কান্নায় ভেঙে পড়ে চৈতি বলেন, ‘রুবেল তো আসলে আমাদের সবার, না? রুবেল তো দেশের জন্য খেলেছে। এখানে কবর থাকে মাত্র ২ বছরের জন্য। কবর স্থায়ী করতে হলে অনেক টাকা লাগে, প্রায় এক কোটি টাকার মত। আমার কাছে তো এই পরিমাণ টাকা নেই। আমি চাই রুবেলের কবর স্থায়ী হোক, রুবেল যেন একটু মাটি পায়।’
ক্রিকেট প্রেমী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর কোনো চাওয়া নেই চৈতির, একটাই চাওয়া, রুবেলের কবর যেন স্থায়ী করা হয়। চৈতি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই চাওয়া। উনি তো অনেককে অনেক কিছু দেন। আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য অনেক কিছু করেন। জীবিত ক্রিকেটারদের জন্য তো অনেক কিছু করেন। আমার রুবেলের জন্য, একজন মৃত ক্রিকেটারের জন্য একটা কবরের জায়গা দেবেন না? আর কিচ্ছু চাওয়া নেই আমার।’
মায়ের পাশে এ সময় নির্বাক দাঁড়িয়ে ছিল রুবেলের একমাত্র ছেলে সন্তান রুশদান, যে এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারেনি বাবা হারানোর কষ্টটা। চৈতি বলেন, ‘রুবেলের জন্য একটু স্থায়ী মাটি চাই যাতে আমার ছেলেটা দেখতে পারে। দুই বছর পর কবর তুলে ফেললে তো পারব না রুবেলকে দেখতে। রুবেল তো কোথাও নাই, শুধু এখানেই
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।