করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা খরচের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার মামলার আসামি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম জামিন চেয়ে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন।
এ সময় মোহাম্মদ সাহেদ দাবি করেন, তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি নিজে র্যাব সদর দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে চিনতেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুদকের করা মামলায় জামিন শুনানিতে আদালতে হাজির হয়ে এমন দাবি করেন তিনি।
ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এদিন এ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষ সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২ মে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। সাহেদকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা বাকি পাঁচ আসামিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সাহেদের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু শুনানি শেষে তা পুনরায় খারিজ করেন আদালত। শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাহেদ বলেন, আমি আবুল কালাম আজাদ এবং অন্যদের চিনতাম না। আমাকে সাতক্ষীরা থেকে আটক করা হয়নি।
আদালতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমাকে জামিন দেন। আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার ১৬ বছরের মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, আমার স্ত্রী বাড়ির বাইরে যেতে পারে না। আমার মেয়ের সহপাঠীরা তাকে চোরের মেয়ে বলায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিল। আমার বউকে সবাই চোরের বউ বলে ডাকে।
রিজেন্ট হাসাতালের সঙ্গে চুক্তিতে অনিয়মের ঘটনার পর ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সাহেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে এ মামলা করে দুদক। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। প্রথমে মামলায় আবুল কালাম আজাদের নাম না আসলেও তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তাকে আসামি করা হয়।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।