লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) সেক্রেটারিয়েট যৌথ আয়োজিত ৪র্থ সিভিএফ-কোপ২৬ ডায়লগ-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জলবায়ু নেতৃত্ব ও মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি ডিকেড প্ল্যান ২০২১-২০৩০ এর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশী মিশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ভার্চুয়ালি এই আলোচনায় অংশ নেন।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, সিভিএফ থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর অন অ্যাম্বিশন ও মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ, যুক্তরাজ্যের শ্যাডো সেক্রেটারি অব স্টেট ফর বিজনেস, এনার্জি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্র্যাটেজি এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ড, কমোনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড এবং সিভিএফ এক্সপার্ট অ্যাডভাইসরি গ্রুপের চেয়ার প্রফেসর ড. সালিমুল হকসহ বিশ্বের প্রখ্যাত জলবায়ু নেতৃবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞরা সহ-প্যানালিস্ট হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি ডিকেড প্ল্যান ২০২১-২০৩০ এর ওপর একটি প্রেজেন্টেশন পরিবেশন করেন।
মুজিব-বর্ষে বাংলাদেশ সিভিএফ এর সভাপতি থাকাকালে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি ডিকেড প্ল্যান ২০২১-২০৩০ ঘোষণা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, সিভিএ চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ কোপ২৬ এর ফাঁকে সিভিএফ-কোপ২৬ লিডার্স সামিট সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কথা তুলে ধরার পাশাপাশি উচ্চাভিলাষী ঢাকা-গ্লাসগো সিভিএফ-কোপ২৬ ক্লাইমেট ডিক্লেয়ারেশন দিবে।
তিনি আরো বলেন, ‘গ্লাসগোতে যে সব দেশের সবচেয়ে বেশি সাহায্যের প্রয়োজন- তাদের কার্যকরভাবে সহায়তার জন্য কোপ২৬- সভাপতি যুক্তরাজ্য ও সিভিএফ সদস্যদের মধ্যে একটি ক্লাইমেট ইমারর্জেন্সি প্যাক্ট হওয়া উচিৎ।’
এ সময় ড. মোমেন আগামী মাসে গ্লাসগোতে কোপ২৬ এর আয়োজক হিসেবে যুক্তরাজ্যের সক্রিয় নেতৃত্বের প্রশংসা করে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রীর মধ্যে রাখতে বড় ধরনের নিঃসরণ বন্ধ করতে ও কোপ২৬-এ আর্থিক ব্যবধান হ্রাসের আহ্বান জানান।
ডেভিড ক্যামেরন তার বক্তব্যে বলেন, বৈশ্বিক নিঃসরণ ৫ শতাংশের নিচে রাখতে যাদের ভূমিকা রয়েছে- সেই ৪৮টি সিভিএফভুক্ত দেশের চরম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণতার কথা তুলে ধরতে সিভিএফ এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশকে কোপ২৬-এ একটি জোরালো বক্তব্য দিতে হবে, যাতে করে বিশ্ব নেতৃত্ব এই দেশগুলোর প্রতি মনোযোগী হয়।
এ সময় তিনি ২০১৭ সালে বাংলাদেশে তার সফরের কথা স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ একটি জোরালো মতামত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ক্ষয়ক্ষতির ভিত্তিতে নতুন করে অর্থায়নের আওতায় আনা উচিৎ, যাতে করে এই দেশগুলো জলবায়ুজনিত ক্ষতি ও কোভিডের অভিঘাতের কারণে ঋণগ্রস্থ হয়ে না পরে।
সাঈদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে একটি সহনশীল ও টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তুলে ও কম-কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কৌশলগত বিনিয়োগের ধারণা নিয়ে মুজিব প্ল্যান সিভিএফ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত একটি উচ্চাভিলাষী রোডম্যাপ।’
হাই কমিশনার আশা করেন যে কোপ২৬-এ অধিক সংখ্যক সিভিএফ দেশ ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান নিয়ে আসবে, যা বাস্তবায়নে ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে টেকসই সবুজ অর্থায়ন প্রয়োজন।
এই আলোচনায় সিভিএফ হাই কমিশনার, রাষ্ট্রদূত ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞগণ অংশ নেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।