রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কন্যা শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ৫ অক্টোবর ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২১’ উপলক্ষে দেশের সকল কন্যাশিশুর প্রতি রাষ্ট্রপতি আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা জানান। এবছর জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমরা কন্যাশিশু প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হব, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সকল আন্তর্জাতিক ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে ‘সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)’ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এসডিজি’র ৫নং অভীষ্ট লক্ষ্য সরাসরি নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিয়ে নিরোধ, নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সরকার এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বে যে তিনটি দেশ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।
তিনি আশা করেন, বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনেও সফল হবে। নারীর সার্বিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে বাল্যবিয়ে, যৌতুক, ইভটিজিং প্রতিরোধসহ সমাজিক ও পারিবারিক বৈষম্য ও নির্যাতন থেকে কন্যা শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপনের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, কন্যাশিশুর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সকলের কর্তব্য। বর্তমান সরকার কন্যাশিশুর উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। সরকার উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে অধ্যয়নসহ এক কোটি ৪০ লাখ মেয়ে শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করছে। এর ফলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষার হার বেড়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মেয়েরা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে ঈর্ষণীয় সফলতা প্রদর্শন করছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ইতিবাচক ভূমিকার কারণে দেশের নারী ও মেয়েরা আজ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে।
তিনি ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।