৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদও বাঁচালেন মমতা।
ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জেতার পর কালীঘাটের বাড়ির সামনে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, সকল ভাষার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। সব ক’টি ওয়ার্ডে আমি বেশি ভোট পেয়েছি। এই প্রথম এমন হল। ভবানীপুরের মানুষ গোটা দেশকে দেখিয়ে দিল বাংলা কাকে চায়।
জয়ের পর মমতা ধন্যবাদ জানিয়ে ভবানীপুরের জনগণকে বললেন, কোভিড এবং বৃষ্টি সামলে যে ভাবে ভোট দিয়েছেন মানুষ। তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এসময় মমতা বলেন, আমি দু’ আঙুলে জয়ের চিহ্ন দেখাব না। তিন আঙুলে জয়ের চিহ্ন দেখাব। কারণ আমরা তিন জায়গায় জিতেছি।
ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতার জয় নিয়ে সংশয় ছিল না তৃণমূল শিবিরের। তবে চিন্তা ছিল ব্যবধানের অঙ্ক নিয়ে। ভোটের ব্যবধান বাড়তে থাকায় রাজ্যজুড়ে বিজয় উল্লাস শুরু করেছে তৃণমূল সমর্থকরা। যদিও এখনই উৎসব না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা নিয়ে শঙ্কা থাকায়, ভবানীপুরসহ তিন আসনেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ভবানীপুর ছাড়াও , সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর আসনেও এগিয়ে তৃণমূল। তিন আসনে ভোট হয় বৃহস্পতিবার।
মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তার দল রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মমতা নিজে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হননি।পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে এবার লড়েছিলেন মমতা। ওই আসনে মমতা হেরে যান তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। ভারতীয় সংবিধান মেনে গত ২ মের ফলাফল ঘোষণার পর ৫ মে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তৃণমূলনেত্রী। সাংবিধানিক বিধি হলো ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে বিধানসভায়। সে লক্ষ্যে ভবানীপুর আসনে তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। মমতাকে ভবানীপুর আসনের শূন্যপদে জিতিয়ে আনাই ছিল তার লক্ষ্য।
ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।