জেলার মেঘনা ও তেঁতুলীয়া নদীতে আগামীকাল সোমবার থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২১ সফল করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে। সচেতনতামুলক সভা, ব্যানার, পোষ্টার, লিফলেট, মাইকিং ইত্যাদির মাধ্যমে জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে। এদিকে অভিযানকে সামনে রেখে সাগর ও নদী থেকে ফিসিং বোট, ট্রলার, নৌকা ও মাছ ধরার অনান্য সরঞ্জাম নিয়ে জেলেরা ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে।
এ ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীকে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা যাবে। নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন ১ লাখ ৩২ হাজার জেলে পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে মোট ২ হাজার ৬৪০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু করা হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস, এম, আজাহারুল ইসলাম বাসস’কে জানান, মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের সকল প্রস্তুতি শেষের দিকে। বাস-ট্রাক-লঞ্চগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে, নিষোজ্ঞাকালীন সময়ে ইলিশ মাছ পরিবহন থেকে বিরত থাকার জন্য। বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে সকল বরফকলগুলোকে। আগামীকাল থেকে প্রত্যেক উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ অভিযান বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করবেন। একইসাথে পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবে।
তিনি জানান, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ইলিশ মাছ এ সময়ে সর্বোচ্চ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়তে পাড়ে। সঠিক রক্ষাণাবেক্ষণের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাই জাতীয় সম্পদ ইলিশ মাছ রক্ষায় সকলকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার কথা বলেন তিনি।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।