নিয়মনীতিহীন আইপি টিভির বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু আইপি টিভি অনেক সময় গুজব রটানোতে যুক্ত হয়, অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ভাঁড়ামোতে লিপ্ত হুয়। আবার দেখা যায় অনুমোদন পাবার আগেই কেউ কেউ টেলিভিশন চ্যানেলের মতো অফিস খুলে বসেছে, জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছে। এসকল বিষয়কে একটা নিয়মনীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও আইপি টিভি জয়যাত্রার’ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব।
তাকে গ্রেপ্তারের পর রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের এ ব্লকের ৩ নম্বর রোডে জয়যাত্রা টিভি কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যা ব। র্যা ব জানিয়েছে, ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন জয়যাত্রা আইপি টিভির অনুমোদন থাকার কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
দেশে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি এখন বেশকয়েকটি আইপি টিভিও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে,যার অনেকগুলো সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
হাছান মাহমুদ জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আইপি টিভিগুলোর কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দরখাস্ত আহবান করেছিল। প্রায় পাঁচ শতাধিক দরখাস্ত জমা পড়েছে এবং সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজও গুছিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যেগুলোর মান ভালো, সেগুলোর রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হবে। তবে সারা দেশব্যাপী ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি খুলে যার যেমন ইচ্ছে তেমন করবে সেটা কখনও আইনসম্মত বা বাঞ্ছনীয় নয়। যেগুলোর বিষয়ে নানা অভিযোগ আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে সহসাই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নানা কাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর কিভাবে আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফাঁকফোকর দিয়ে দলের উপকমিটিতে এ ধরণের কারো ঢোকা সমীচীন হয়নি। এদের কমিটিতে রাখার বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল। যারা সুপারিশ করেছেন, তাদেরও আরও জানাশোনার দরকার ছিল। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তার আইপি টিভির বিষয়ে অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখবো, সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তথ্যমন্ত্রী এরপর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঙ্গে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।