হারারেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৬৭ রানের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার ২৩ রানে। এতে করে সিরিজে ১-১-এ আসল সমতা। তৃতীয় ম্যাচটি তাই এখন সিরিজ নির্ধারণী।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে লক্ষ্যটা খুব কঠিন ছিল না। জিম্বাবুয়ের বোলিংও অসাধারণ কিছু হয়নি। পরিকল্পনাহীন ব্যাটিংয়ে বিপদ ডেকে আনেন বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাই। পরের দিকে একটু লড়াই করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি সফরকারীরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ৩১ রান। প্রতিটি বলেই তাই বাউন্ডারির সন্ধানে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। লুক জঙ্গুয়ের আগের বলে বাউন্ডারি মেরে পরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই অলরাউন্ডার। ১৫ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৯ রান করেন সাইফ।
শেষ দিকে অভিষিক্ত শামীম হোসেন খেলেছেন ১৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস। আফিফের সঙ্গে তাঁর ৪১ রানের জুটিই ইনিংসে সর্বোচ্চ। তবে ততক্ষণে প্রয়োজনীয় রান-রেট প্রায় নাগালের বাইরে, শামীমের উইকেটের পর বাংলাদেশের অলৌকিকের আশাও শেষ হয়েছে আফিফ ফিরে যাওয়ার পর।
ওপেনিংয়ে ভাল শুরু করতে পারেননি সৌম্য-নাঈম। ব্যাটিং অর্ডারে এসেছে পরিবর্তন, তবে তিনে আসা মেহেদী হাসানও পায়ের নীচে সে অর্থে মাটি খুঁজে পাননি। নাঈমের পর প্রায় সব ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন বড় শটের চেষ্টায়, ক্যাচও গেছে সরাসরি জিম্বাবুইয়ান ফিল্ডারের হাতে।
ব্লেসিং মুজারাবানির এক ওভারে জোড়া আঘাতের পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বাঁহাতি স্পিনে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। মুজারাবানি ২ উইকেট নিয়েছেন ২১ রানে, মাসাকাদজা ৩ উইকেট নিয়েছেন ২০ রানে।
একমাত্র টেস্ট, তিনটি ওয়ানডেরে পর প্রথম টি-টোয়েন্টি- বাংলাদেশ জিতেছিল সবকটি ম্যাচই। প্রথম জয় পেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো জিম্বাবুয়েকে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।