একদিকে যেমন মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা হতাশাগ্রস্ত, তেমনি অন্যদিকে নিজেদের মানসিক বিকাশে, বন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষ করে তুলতে সচেষ্ট আমাদের যুবসমাজ। বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে বর্তমানেও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে থেমে থাকছে না শিক্ষার্থীরা। থমকে যাওয়া সময়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আত্মীয়- পরিজনদের সাথে যোগাযোগসহ নিজেদের প্রতিভা বিকাশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে তারা। এই আবদ্ধ জীবনে আগামীদিনের একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ফ্রিল্যান্সিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সহ আরো অনেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে সরকারি বরিশাল কলেজের এক ছাত্র দীপ্ত দাস জানান, এই বন্দী অবস্থায় তিনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আবদ্ধ সময়কে কাজে লাগাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে তিনি একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটিং অফিসার হতে চান। এছাড়াও বিভিন্ন বই পড়া, ছাদ বাগান করা, ছবি দেখা, ছবি আঁকাসহ নানাবিধ শিক্ষনীয় কার্যক্রমে নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন শিক্ষার্থীরা। মানসিক যত্নে কি করছেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রী উম্মে সুমাইয়া যুঁথী বলেন, ” বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর বাড়িতে থাকা অবস্থায় মায়ের পরামর্শে বাসায় তৈরীকৃত খাবার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে একটি বিজনেস পেইজ খুলি এবং মানুষের কাছে ভালো সাড়াও পেয়েছি। যার মাধ্যমে আমি ভালো সময় অতিবাহিত করতে পারছি এবং পরিবারের সবাইকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারছি”।
করোনার এই ভয়াবহ প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে শিক্ষার্থীরা সবসময় সচেষ্ট থাকছে এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে নানারকম লেখালেখিও করছে তারা।
সুতরাং, প্রত্যেকেরই মানসিক যত্নের প্রতি সচেতন থাকতে হবে এবং আমরা আশাবাদী যে, শিক্ষার্থীদের এসকল ভালো কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।