আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তার সমস্ত সম্পত্তি ‘তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশনে’ দান করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ওই ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার দুপুরে ভোলার সদর উপজেলা চত্বরে মো. মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবন্ধী যুবকের কর্মসংস্থানের জন্য একটি ইজিবাইক দান করা হয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। এসময় তোফায়েল আহমেদ ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আর্ত-মানবতার সেবায় তার নামে তোফায়েল ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়েছে। এই তোফায়েল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই অসহায়-দরিদ্র মানুষের সেবায় পরিচালিত হবে হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, শিক্ষাবৃত্তিসহ মানবতার সেবামূলক বিভিন্ন কাজ। শুধু ভোলাতেই নয়, এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা দেশের অসহায়-দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করা হবে।
তোফায়েল আহমদে বলেন, ইতিমধ্যে তার মায়ের নামে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। তার মা ও বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে আজাহার ফাতেমা মেডিকেল কলেজ। ওই কলেজের দায়িত্বে রয়েছেন তার মেয়ে ডা. তাসলিমা মুন্নী। ওই হাসপাতালও ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যেখানে বিনা টাকায় গরিব মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবেন।
এসময় আবেগ তাড়িত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাকে অতি স্নেহ করতেন। তার রাজনৈতিক সচিব করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্নেহই তার জীবনের বড় সম্পদ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।
করোনা মোকাবিলায় দেশে টিকার সংকট নেই উল্লেখ করে তোফায়েল আহমদে বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। এবারের বাজেটকে সময় উপযোগী বাজেট বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, তোফায়েল ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মইনুল হোসেন বিপ্লব, প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খানসহ অনেকে।
ইজিবাইক পেয়ে মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি ছোট বেলায় ধানমাড়াইর কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তার হাতের কব্জি হারিয়েছিলেন। গত মাসে ইজিবাইক রেখে নামাজ পড়তে যান। এসে দেখেন তার ইজিবাইকটি চুরি হয়ে গেছে। এতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিজান। পরে ফেসবুকে এমন একটি বেদনাদায়ক ঘটনা নজড়ে আসার পর তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে তোফায়েল ফাউন্ডেশন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তোফায়েল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। তোফায়েল আহমেদ নিজেই এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে এই ফাউন্ডেশন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।