২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা বিএনপির অন্ধবিদ্বেষপ্রসূত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভালো কিছু দেখতে পায় না। বাজেট সমালোচনা তাদের অন্ধবিদ্বেষপ্রসূত কথামালার চাতুরী। করোনার সংকটকালীন বাস্তবমুখী, সময়োপযোগী, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের নিশ্চয়তা দিয়ে বাজেট পেশ করা হয়েছে।’
আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিগগিরই আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলা ও উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন শিগগিরই শুরু করা হবে। ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সংগ্রহের জন্য ২৭টি টিম গঠন করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত বিতর্কিতদের সদস্য করা যাবে না। এমন কাউকে সদস্য করা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেসব সাংগঠনিক শাখার সম্মেলন হয়েছে, নিয়মিত কমিটি রয়েছে সেগুলোতে সদস্য সংগ্রহ বই দেওয়া শুরু করবো। কারণ করোনা কবে শেষ হবে, কেউ জানে না। আমাদেরকে এর সঙ্গে বসবাস করতে হবে। এর মধ্যে বাঁচতে শিখতে হবে। আমাদের সংগঠনও চালিয়ে যেতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো। নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরবো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি আমরা আমাদের সভা-সমাবেশগুলো করতে থাকি। আমাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঢাকঢোল না পিটিয়ে, টিমগুলো ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করবে। এটা আমাদের ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী। চিহিৃত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, মাদাকাসক্ত এই ধরনের লোক এবং যারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, এদেরকে কোনোভাবে আওয়ামী লীগের সদস্য করা যাবে না। এটা আমরা বারবার বলেছি। আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, কাউকে খুশি ও দলভারী করার জন্য কেউ যদি বিতর্কিত লোকদের টেনে আনেন, তাহলে তাকেও কিন্তু শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেকটা টিমকে জবাবদিহি করতে হবে। যাদেরকে সদস্য পদ দিবে, তাদের পরিচয়, ব্যাকগ্রাউন্ড পুরোপুরি জানতে হবে। হঠাৎ করে জোয়ারের সঙ্গে এসে ক্ষমতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, আর কাজেকর্মে ভিন্ন, এই ধরনের লোকের দরকার নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনও অপরাধী ও অপকর্মকারীদের প্রশ্রয় দেবেন না। দলীয় পরিচয় শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর ঢাল হতে পারেনি। এখানে কেউ অযাচিত হস্তক্ষেপ করবেন না। ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দুঃসময়ে তারাই পাশে থাকে। সুসময়ের কোকিলরা তখন সটকে পড়ে। তাই তাদের জন্য রাজনীতির পথ মসৃণ করতে হবে। তাদেও কোনঠাসা করলে দল কোনঠাসা হয়ে পড়ে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।