দেশে করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসতেই ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এরইমধ্যে সাত জেলাকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছে সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে ওই জেলাগুলোতে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
ফলে সীমান্তবর্তী ওই সাত জেলাকে লকডাউনের মধ্যে আনতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। আজ রোববার (৩০ মে) এ বিষয় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
লকডাউনের আওতায় আসতে পারে এমন সাত জেলা হলো- নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা। এছাড়া নোয়াখালী ও কক্সবাজারের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত সোমবার (২৪ মে) রাত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এক সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। যা এখনো চলছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় পুরো দেশে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন পেলে রোববারই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছিল। সর্বশেষ ওই বিধিনিষেধে বন্ধ থাকা সব দূরপাল্লার গণপরিবহন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি পেয়েছিল। এরপর থেকে আন্তজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন (বাস, ট্রেন ও লঞ্চ) চলছে।
এছাড়াও হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানসমূহে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদানের সুযোগ রাখা হয়।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।