ফিলিস্তিনের গাজায় শাতি নামের একটি শরণার্থী শিবিরে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শনিবারের এ হামলায় এক পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন শিশু ও দু’জন নারী। নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।
শনিবার ভোরের এ বিমান হামলায় ওই শিবিরের আবু হাতাবের বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এ সময় পরিবারের সবাই ঘুমে ছিল। হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন আহতও হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
মোহাম্মদ আল-হাদিদি আল জাজিরাকে বলেন, হামলায় তার স্ত্রী ও চার ছেলে- সুহাইব (১৪), ইয়াহিয়া (১১), আবদেল রহমান (৮) ও উইসাম- সবাই মারা গেছে। তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে তার ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানেই বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। তার শিশুপুত্র ওমর হামলা থেকে বেঁচে গেছেন বলে জানান আল-হাদিদি।
এছাড়া হামলায় ওই বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও তার চার সন্তান নিহত হয়েছে।
নিজেকে আবু হাতাবের স্বজন দাবি করা একজন বলেন, আমরা দৌড়ে বাইরে এসে দেখি, চারতলা ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ভবনে যারা ছিল, সবাই মারা গেছে।
শাতি শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা আলমেকদাদ জামিল আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে কমপক্ষে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। আগুনের একটি প্রাচীর রাস্তায় এসে পড়ে। শব্দে বধির হয়ে যাচ্ছিলাম। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
আল-শিফা হাসপাতালের বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া ডা. নাবিল আবু আল রেশ বলেন, এখনও আরও লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে গত ছয় দিন ধরে চলতে থাকা ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সংঘাত থামানোর চেষ্টায় একজন মার্কিন দূত হাদি আমর ইসরায়েল সফরে এসেছেন। তিনি ইসরায়েলি, ফিলিস্তিনি ও জাতিসংঘে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
১৫ মে দিনটি হচ্ছে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং লাখ লাখ ফিলিস্তিনির ঘরবাড়ি হারানোর বার্ষিকী। দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ‘আল-নাকবা’ বা মহাবিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করে।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে এ পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হয়েছে। আর হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ৮ জন। গত সোমবার থেকে এই সংঘাতের কারণে গাজার বাসিন্দা প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।