বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)’র নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ পাটকলগুলো লিজের মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর মৌলনীতিতে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠককে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মিলগুলি চালু করা সম্ভব হলে অবসায়নকৃত শ্রমিকদের মধ্যে অভিজ্ঞ ও দক্ষ শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে কমিটি সূত্রে জানা গেছে। বৈঠকে শ্রমিকদের পাওনাদি দ্রুত পরিশোধের লক্ষ্যে শ্রমিকদের করা অনিষ্পন্ন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিতে শ্রম অসন্তোষ সৃষ্টির পিছনে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে জড়ানোয় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কমিটি এ প্রতিবেদনের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করতে কমিটির আরেক সদস্য শাসমুন নাহারকে ওই প্রতিবেদনটি পুনরায় তদন্ত করার জন্য দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে- ওই রিপোর্টে ‘কারাখানা পরিদর্শক অধিদফতরের দুই জন কর্মকর্তা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করছেন’- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এমন একটি চিঠিতে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে জড়ানো হয় বলে কমিটির আগের বৈঠকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজকের বৈঠকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ২০১৯ সালের ২ মে গাজীপুরে ওয়াসিফ নিট কম্টোজিট লিমিটেডের মালিক বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ এবং বকেয়া পরিশোধ না করা নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। তা নিরসনে ২১০৯ সালের ২৭ মে সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে মালিক-শ্রমিক নেতা এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকতাদের সঙ্গে সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে শ্রম পরিদর্শক উজ্জল দেব ও জালাল খান উপস্থিত ছিলেন।
ওইদিন একই সময়ে এমপি শাজাহান খানের চেম্বারে শেখ আসাদুজ্জামান সহকারী মহাপরিদর্শক, কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর, ঢাকার প্রধান কার্যালয় এবং জাকির হোসেন, পাবনার জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে উপস্থিত ছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করে কোনও সভায় যোগদান করার জন্য তাদের কর্মকা- অসদাচরণ প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।