আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচন। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানোসহ এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা।
চতুর্থ ধাপের এ নির্বাচনে ৫৫ পৌরসভার মধ্যে ২৫টি পৌরসভায় ব্যালটে এবং ৩০টিতে ভোট হবে ইভিএমে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা।এই দফায় ৫৬ পৌরসভায় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হলে অনিবার্য কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানিয়েছেন, চতুর্থ দফা পৌর নির্বাচন যেন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে বিষয়ে মাঠ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চলমান পৌরসভার সামনের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত হবে। ভোট সুষ্ঠু করতে আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার তা সব ঠিকভাবে নেয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে এবার পাঁচ ধাপে পৌর নির্বাচন করছে কমিশন। এর আগের তিন দফায় দেশের ১৪৭টি পৌরসভায় নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। প্রথম ধাপের ২৪ পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়। তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোট হয় ৩০ জানুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপের ৩১ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এদিকে ৫৫ পৌরসভায় সব ধরনের প্রচার শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা ভোটের। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখন জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইনানুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হয়। এদিকে প্রচার শেষ হওয়ার পাশাপাশি ভোট গ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচনী এলাকায় যানচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী শুক্রবার রাত থেকেই ৫৪ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া অন্যান্য যন্ত্রচালিত যান ১৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে না। জাতীয় মহাসড়ককে যান চলাচল করবে। একইসঙ্গে জরুরী পণ্য পরিবহন ও অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে সাংবাদিক, নির্বাচনী কর্মকর্তা, প্রার্থী, প্রার্থীর এজেন্টদের গাড়ি।
যেসব পৌরসভায় ভোট হবে সেগুলো, ঠাকুরগাঁও সদর ও রাণীশংকৈল; রাজশাহীর নওহাটা, গোদাগাড়ী ও তাহেরপুর; লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম, নরসিংদী সদর ও মাধবদী, রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ, বরিশালের মুলাদী ও বানারীপাড়া, শেরপুর সদর ও শীবরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, নাটোর সদর ও বড়াইগ্রাম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, বান্দরবান সদর, বাগেরহাট সদর, সাতক্ষীরা সদর। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, কুমিল্লার হোমনা ও দাউদকান্দি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, হোসেনপুর ও করিমগঞ্জ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও কালিহাতী, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা, ফেনীর পরশুরাম, চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, নেত্রকোনা সদর, যশোরের চৌগাছা ও বাঘারপাড়া, রাঙ্গামাটি সদর, মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, জামালপুরের মেলান্দহ, ময়মনসিংহের ফুলপুর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ও কালাই, নোয়াখালীর চাটখিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ফরিদপুরের নগরকান্দা এবং সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভায়।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।