শীতকালীন শুষ্ক প্রকৃতি আমাদের ত্বককেও রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে। ত্বকের এই শুষ্কতা কারও কারও ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। ফলে জন্ম নেয় উইন্টার র্যাশ বা ত্বকে বিভিন্ন ধরনের র্যাশ।
র্যাশ ওঠার কারণ:
সাধারণত ত্বকের পানি এবং সিবাম আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শীতল আবহাওয়া ত্বক থেকে অতিরিক্ত পানি ও তৈল শোষণ করে নেয়। ফলে ত্বকে জন্ম নিতে পারে বিভিন্ন র্যাশ।
এছাড়া শীতেল আবহাওয়া কিছু চর্ম রোগ ও বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন:
১) একজিমা
২) রোজাসিয়া: এটি একধরনের ব্যাক্টেরিয়া জনিত সংক্রমণ। ফলে ত্বকে জন্ম নেয় ফোড়া, চুলকানি বা লালচে র্যাশ।
৩) কোল্ড আর্টিকেরিয়া: শীত কালীন আবহাওয়া জন্ম দেয় আর্টিকেরিয়া বা চাকা হয়ে ফুলে যাওয়া। অনেক চুলকায় আক্রান্ত স্থান।
৪) সোরিয়াসিস: শুষ্ক ত্বক সোরিয়াসিস বেড়ে যেতে সাহায্য করে।
উপসর্গ:
উইন্টার র্যাশে সাধারণত হাত ও পা বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ এই দুটি অঙ্গ বেশি ঠান্ডা আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসে। এর প্রধান উপসর্গ গুলো হলো-
১) লালচে হয়ে যাওয়া।
২) চুলকানি
৩) চামড়া উঠা।
৪) ছোট ছোট ফুসকুড়ি
৫) ইনফেকশন বা প্রদাহ।
কীভাবে প্রতিকার পাবেন?
১) বেশি বেশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার।
২) কিছু প্রাকৃতিক তেল ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। যেমন: নারিকেল তেল এ প্রচুর পরিমানে লরিক এসিড রয়েছে, যা ত্বকের পানি হারানো রোধ করে। সূর্যমুখী তৈলে রয়েছে লিনলিক এসিড যেতে ত্বকের প্রদাহ কমায়।এভোকাড ওয়েলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ডি ও ই। এই ভিটামিন গুলো ত্বকের পুষ্টি বাড়িয়ে ত্বককে মসৃন এবং সতেজ করে তোলে।
৩) শীতকালে যত বেশি সম্ভব লিকুইড সাবান বা শাওয়ার জেল দিয়ে গোসল করা উচিত।
৪) বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করা উচিত নয়। কুসুম কুসুম গরমপানি ব্যবহার উত্তম।
এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করবে। তবুও যদি ত্বকের শুষ্কতা বাড়তে থাকে এবং অন্যান্য চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বক কোন সমস্যায় ভুগছে। তখন দেরি না করে অবশ্যই একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
লেখক: ডা. এস কে আরিফুর রহমান, কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট এন্ড ডার্মাটো সার্জন, ডাঃ আজমল হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর, ঢাকা।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।