এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আজ সোমবার রাতে অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন। ইমাদুল উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ওই নারী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। সকাল ১০টার দিকে তিনি উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে পৌঁছান। এ সময় ইমাদুল সেখানে উপস্থিত হন। তিনি গৃহবধূর সন্তানকে খুন করার হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। একপর্যায়ে ইমাদুল তাঁকে নওয়াপাড়া রেল বস্তির একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। পরে তিনি ওই অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর কয়েকজন জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। চার মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। তিনি প্রবাসে থাকাকালে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ইমাদুলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাড়ি ফিরে স্বামী বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে সালিস বৈঠক হয়। এরপর প্রবাসীর স্ত্রী ইমাদুলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য ইমাদুল প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ হন। এ কারণে তিনি জোর করে তাঁকে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, জোর করে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ এবং ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ইমাদুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তালিম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে মো. ইমাদুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র; প্রথম আলো
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।