ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর পর সেখানে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম গত কয়েক বছরে বেশ পরিচিত দৃশ্য হয়ে উঠেছে।
কিন্তু গত দিন দশ-বারো ধরে এর একেবারে উল্টো ছবি ঘটতে দেখা যাচ্ছে মেঘালয় সীমান্তে সাউথ গারো হিলস জেলায় – যেখানে বিজিবির গুলিতে সীমান্তে একজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন।
মেঘালয়ের পুলিশ ও প্রশাসন বিবিসিকে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিকে মাদক চোরাকারবারি বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা হলেও তার আদৌ কোনও অপরাধের রেকর্ড ছিল না।
দুদেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এখন এই হত্যাকান্ডের প্রতিকারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্য, তার আগের রাতেই বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা তাকে টেনে-হিঁচড়ে সীমান্তের অন্য পারে টেনে নিয়ে যায় এবং বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি-র সহায়তায় সূর্যপুর-ডুমিলকুড়া সীমান্তের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
“তিনি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ক্ষেতের শাকসবজি তুলতে গিয়েছিলেন, তবে তিনি পুরোপুরি ভারতের সীমানার ভেতরেই ছিলেন।”
“পরদিন সকালে বিএসএফ আমাদের জানায় যে একজন ভারতীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করার কথা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি তাদের জানিয়েছে।”
“বিএসএফ আমাদের বলে যে বিজিবি গুলিচালনার কথা স্বীকার করলেও আত্মরক্ষার্থেই না কি সে গুলি চালানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ইয়াবা মাদকের ট্যাবলেটও ছিল বলে বিজিবি দাবি করেছে।”
“অথচ তার নামে পুলিশের কাছে কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, এলাকায় বরং তার বেশ সুনামই ছিল।”
সূত্র:বিবিসি
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।