হার্নান্দো সাইলসের কথা শুনলেই গা শিউরে ওঠে। বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হারা ৭ ম্যাচের সবকটিই যে এখানে। লিওনেল স্ক্যালোনি তাই ড্রয়ের চিন্তা মাথায় রেখেই ছেলেদের মাঠে নামান। কিন্তু এরপর যা ঘটলো তা অনেকটা ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি’র মতো বিষয়। ভয়কে জয় করে এদিন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিওনেল মেসির দল।
ম্যাচের প্রথম আধঘন্টা রাজত্ব করে স্বাগতিকরা। বল দখলে এই সময়টাতে পাত্তাই পায়নি আর্জেন্টিনা। হজম করে এক গোল। প্রেক্ষাপট পাল্টাতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি। ঘুরে দাঁড়িয়ে দুবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠায় মেসিরা। তাতেই প্রায় ১৬ বছর পর বলিভিয়াতে জয় পায় আলবিসেলেস্তেরা।
ম্যাচের সাত মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে বলিভিয়ার সামনে। ব্যর্থ হন মার্সেলো মার্টিন্স। সাউল তরেসের ক্রস থেকে তার হেড লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। এর ঠিক তিন মিনিট পরই দুর্দান্ত শট নেন লিয়েন্দ্রো প্যারেদেস। তা চলে যায় গোলপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে।
২৪ মিনিটে দলকে আনন্দে ভাসান মার্টিন্স। সাউলের ক্রস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্ট্রাইকার। ম্যাচের ৩১ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুন করতে পারতো দলটি। কিন্তু কার্লোস সাউসেদোর হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
এরপরই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে আর্জেন্টিনা। বলের দখল নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের খেলার গতি বাড়াতে থাকে। ফলাফলও আসে খুব দ্রুতই। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে মার্টিনেজের গোলে সমতায় ফিরে তারা।
বিরতির পর থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। মরিয়া হয়ে ওঠা দুই দলই বারবার প্রতিপক্ষের শিবিরে হানা দেয়। কিন্তু কিছুতেই গোলের দেখা পায়নি। অবশেষে ৭৯ মিনিটে এগিয়ে যান অতিথিরা। মার্টিনেজের অ্যাসিস্ট থেকে জাল কাঁপান জোয়াকিন কোররেয়া। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল হয়নি। ২-১ ব্যবধানের জয় পায় স্ক্যালোনির শিষ্যরা।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।