স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আর আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কখনো লকডাউন ছিল না, আমরা আমাদের সীমিত অভিজ্ঞতা নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছি। এই খাতের সবাই মিলেমিশে কাজ করেছে।
গতকাল ( ৬ অক্টোবর ) মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। এই ভাইরাসটি এখনো আছে, তবে আগের থেকে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে করোনা পরীক্ষার জন্য একটি মাত্র পিসিআর ল্যাব ছিল। এখন ১০৭টি ল্যাব আছে। বাংলাদেশের ওষুধের কোনো অভাব হয়নি। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ওষুধ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, কাজ যে করে তার দুই একটা ভুল থাকতে পারে। পৃথিবীর কোনো দেশের স্বাস্থ্য খাতের এত সমালোচনা হয়নি। বাংলাদেশের হয়েছে, তবে এখন সবাই প্রশংসা করে। প্রধানমন্ত্রী কয়েকবার আমাদের প্রশংসা করেছেন।
প্রথম পর্ব শেষ হয়নি বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সেকেন্ড ওয়েভের কথা আলোচনা করছি, তবে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তুত আছে। আর আমরা জানিও না সেকেন্ড ওয়েভ আসবে কি-না। তবে শীতে সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন আশংকা থেকে আমরা সবাইকে চিঠি দিয়ে সচেতন করছি। আমরা আরও প্রস্তুত হব। আমরা আশা করি সবাই সচেতন থাকলে সংক্রমণ আর বাড়বে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা এখন অধিক সামর্থ্যবান হয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশে করোনা রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। সে অনুযায়ী আমাদের দেশেও করোনা রোগী বৃদ্ধি পেতে পারে।
সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, মাস্ক শুধু নিজের নিরাপত্তার জন্য নয় অন্যকে সংক্রমিত করার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করুন।
বিপিএসসির সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ঢেউ এলেও আমাদের সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। করোনাকালে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো তাদের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ আজ একটি দৃষ্টান্ত। ইউরোপের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা এখনো ভালো আছে।
তিনি আরও বলেন, দিন দিন বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩৫ হাজার ডাক্তার, ৩০ হাজার নার্স ছাড়াও ৩৫ হাজারের মতো প্রফেশনালস কাজ করছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। অতীতে আমরা সরকারের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম, বিপিএমসিএর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপদেষ্টা ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।