আগামী দুই মাসের মধ্যে বিএনপি তাদের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মাঠে থাকুক তা আমরাও চাই, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই জনগণ চায়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে কোনো অপশক্তি দেশের বিদ্যমান শান্তি ও স্বস্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
রোববার (০৪ অক্টোবর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস সৃষ্টি, জনভোগান্তি এবং জানমালের ক্ষতি সরকার মেনে নিবে না।
বিএনপি তাদের নেতা-কর্মীদের ওপর মামলা-হামলার কল্পিত অভিযোগের ভাঙা রেকর্ড বাজানো এখনো অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন উপনির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় তারা এখন থেকেই হামলার মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ভোটারদের আস্থা অর্জনে তাদের কোনো পুঁজি নেই তাই বিএনপি মিথ্যাচারের ভেলায় চড়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দেওয়ার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
প্রার্থীরা নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে চাইলেও বিএনপির হাইকমান্ডের অপরাজনৈতিক কৌশলের কারণে প্রার্থীরা ভোটের দিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় একান্ত অনিচ্ছায়। নির্বাচন করা বিএনপির আসল লক্ষ্য নয়, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার স্বোচ্চার, অনিয়ম উদঘাটন করে সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে,কারো চাপে পড়ে নয়।
তিনি বলেন, যাদের হাত দিয়ে এদেশে দুর্নীতির বটবৃক্ষে রূপ নিয়েছিলো তারা দুর্নীতির আন্দোলন করবে- একথা শুনলে জনগণের হাসি পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবীদের মতে তারা এখন কোমর ভাঙা রাজনৈতিক দল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন ও কমিটি গঠনের সময় এলে বিএনপি নেতারা বাণিজ্য করছে বলে তাদের কর্মীদের প্রকাশ্যে অভিযোগ আছে তাই তারা নাকি অনিয়ম দূর করার আন্দোলন করবে? জনগণ তা বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, যে সকল কমিটি জমা পড়েছে সে সকল কমিটি যাচাই-বাছাই করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে কমিটি করতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগ দুর্বিপাকে একমাত্র আওয়ামী লীগই জণগণের পাশে থাকে।
মন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনা মহামারি আর অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলতার সাথে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার প্রমাণ করেছে দুর্যোগ প্রতিরোধ করা না গেলেও শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা যেতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। পরে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।