আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, নির্বাচনে কোনো রকম সংঘাত-সহিংসতা আমি দেখতে চাই না। কোনো সংঘাত হলে, দলের কেউ যদি করে তাদেরও রেহাই নেই! যথাযথ ব্যবস্থা নেব, সেটা মনে রাখবেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি জনসভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করবে। তারা যাকে খুশি তাকে পছন্দ করবে। তারা যাকে ভোট দেবে, সেই জয়ী হয়ে আসবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, তাহলে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি করেছি, তাও থাকবে না।
আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরের বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এমন কোনো জেলা নাই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখন ২১ জেলা ভূমিহীন, গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। আবারও ক্ষমতায় আসতে পারলে প্রতিটি জেলার প্রত্যেক গৃহহীন মানুষ ঘর পাবে।
জনসভায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি খরচ করে খাদ্যের মজুত নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
বিরোধী দলগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বড় বড় কথা বলে। ভোটের কথা বলে। তারা ভোটের কী বুঝে? বিএনপি এসেছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী এক জেনারেলের পকেট থেকে। যেটা সংবিধান বিরোধী। তারা মানুষকে মানুষ হিসাবে গন্য করে না। তারা রেলে আগুন নিয়ে কীভাবে আগুন দিয়ে পোড়ালো। এক মা সন্তানকে বুকে নিয়ে আগুনে পুড়ে মরলো।
২০১৩-১৪ সালেও তারা সারা বাংলাদেশে তাণ্ডব করেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এখন আবার শুরু করেছে অগ্নিসন্ত্রাস। মানুষের শান্তি দেখলে ওদের মনে অশান্তি জাগে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।