নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক দেশে কোন রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চায়, সেটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং এটি নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে স্বাধীনভাবে যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে তেমনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার অধিকারও রয়েছে। একই সাথে তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধও করতে পারেন, সে ক্ষেত্রেও কোন সমস্যা নেই। তবে সেটাও শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। কোন ধরনের নাশকতা বা উস্কানি দেওয়া, ভোট প্রতিহত করা বা ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর তার দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নানা পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘শান্তিশৃঙ্খলার সাথে যদি নাশকতার পার্সেন্টিজ বলেন, তাহলে এটার মাত্রা একেবারেই নগণ্য। যেটা করছে খুবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সাথে যারা গোয়েন্দা বিভাগে আছেন তারা অত্যন্ত তৎপর। কোন নাশকতার জন্য কেউ চেষ্টা করছে কিনা সে ব্যাপারে তারা অত্যন্ত সজাগ। যেখানে যখন খবর পাচ্ছে সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
মো. আলমগীর বলেন, বিশৃঙ্খলা করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী এবং আচরণবিধি অনুযায়ী যেহেতু অপরাধ, সে অনুযায়ী আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি এ ধরনের অপরাধের সাথে কেউ সংশ্লিষ্ট থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।