জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কোনো সভা সমাবেশ করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। রাজধানীর মতিঝিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে আজ শনিবার সাংবাদিকতা প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে গত সোমবার ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় জামায়াত। চিঠিতে দলটি উল্লেখ করে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ করতে চায় তারা।
পরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে কোনোভাবেই কোনো সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর মতিঝিল শাপলা চত্বরেই জামায়াতে ইসলামী মহাসমাবেশ করবে।
২০১২ সালে একাত্তরের মানবতা বিরোধীদের বিচার শুরু হলে জামায়াতের প্রায় সব শীর্ষ নেতার বিভিন্ন সাজা হয়। এর মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে। এরপর থেকেই মূলত রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি।
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থানের কারণে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানোর পর দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করেনি দলটি। নিবন্ধন না থাকায় ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।