হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক ও আল্লামা শফির পুত্র আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারসহ একাধিক দাবিতে হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করছে ছাত্ররা। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। ছাত্রদের বিক্ষোভ কর্মসূচি এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ সম্পর্কে এএসপি (উত্তর) মশিউদ্দোলা রেজা বলেন, মাদ্রাসা কেন্দ্রিক বেশ কিছু দাবি দাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। ছাত্ররা মাদ্রাসার ভেতরে অবস্থান করছেন। পুলিশ, র্যাবসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাদ্রাসা বাইরে অবস্থান করছে। ছাত্ররা অস্থিতিশীল কোনও পরিবেশ যাতে তৈরি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সর্তক অবস্থায় আছে।
ছাত্রদের দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে আনাস মাদানীকে বহিষ্কার করতে হবে। আনাস কর্তৃক অবৈধভাবে অব্যাহতি দেয়া তিনজন সম্মানিত শিক্ষককে পুনর্বহাল করতে হবে। আনাস কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সকল অযোগ্য-অর্থব এবং অসৎ চরিত্রের শিক্ষক ও স্টাফদের ছাটাই করতে হবে। ছাত্রদের ওপর সব ধরনের জুলুম ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আল্লামা আহমদ শফী সাহেব কর্মক্ষম না থাকায় তাকে কার্যকরি মুহতামিম থেকে সম্মানজনকভাবে অব্যাহতি দিয়ে একজন ‘মুখলিস, বুযুর্গ ও দক্ষ আলেমকে’ মুহতামিম নিয়োগ দিতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জোহরের নামাজের পর ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে। মাদ্রাসার গেইট বন্ধ করে তারা ভেতরে অবস্থান নেন। মাঝে মাঝে তারা মাইকে তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া ঘোষণা করছেন। তবে এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের কেউ কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ সর্ম্পকে জানতে হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক আনাস মাদানীকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সচিব আল্লামা মুইনুদ্দিন রুহিকে চেষ্টা করা হলে তিনিও মোবাইল রিসিভ করেননি।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।