চীনে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন রোগ বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, “ওমিক্রন বিএফ.৭’ হলো ওমিক্রন ‘বিএ.৫’-এর উপধরন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এই ধরন সম্পর্কে কোনো সতর্কতা জারি করেনি। চূড়ান্ত কথা বলতে হয়তো আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
তবে আমাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ”
ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের পাশের দেশ ভারতের শীতপ্রধান যে অঞ্চলগুলোতে এখন সংক্রমণ বাড়ছে, সেখান থেকেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ এই মুহূর্তে না বাড়লেও যদি এটি ওমিক্রনের বিএ.৫ উপধরন হয়ে থাকে বা একেবারে নতুন কোনো উপধরন হয়, তাহলে দ্রুত আমাদের দেশে চলে আসবে। তাই সীমান্তে সতর্কতার সঙ্গে দেশের ভেতরেও সতর্কতা বাড়ানো প্রয়োজন। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে জনবহুল স্থান পরিহার করা এবং মাস্ক ব্যবহার দরকার। আর জ্বর হলেই কভিড পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো রকমের গাছাড়া ভাব দেখানো যাবে না। ’
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণত শীতপ্রধান দেশে এই সময়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ে। আমাদের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে বাড়ে গরমের সময়। বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা রয়েছে। জুলাই থেকে আগস্টে সর্বোচ্চ পিক হয়তো থাকবে। ‘
কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘ভারত কী ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেটা জানা দরকার। তারা কোনো ভ্যাকসিন প্রটোকল নিয়েছে কি না, সেটা জানা দরকার। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদক্ষেপ কী, সেটাও জানা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমরাও খুব সতর্ক থাকব। তবে আতঙ্ক নয়। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। এখন সংক্রমণের হার অনেক দিন ধরে এক অঙ্কের নিচে। যদি বাড়ে, তখন জিনোম সিকোয়েন্সিং করে জানতে হবে আমাদের মধ্যে নতুন কোনো ধরন ঢুকল কি না। ’
আরো ১৬ জন শনাক্ত : দেশে গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ জনের। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।