জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, খাদ্যসহ নিত্যপণ্য ও পরিবহনের ভাড়া কমানো এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানায় বাম গণতান্ত্রিক জোট। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এই জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশবাসীকে রাজপথে থেকে অর্ধদিবস হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয়। সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে আগামীতে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হরতাল চলাকালে হাসপাতাল, জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, লাশ বহনকারী গাড়ি, গণমাধ্যমের গাড়ি, ওষুধের দোকান, খাবার হোটেল) হরতাল কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
দেশের মানুষ এক দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে উল্লেখ করে রুহিন হোসেন বলেন, বর্তমান সঙ্কটে সরকার মানুষ বাঁচাতে দায়িত্বশীল আচরণ না করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েই চলেছে। সম্প্রতি মোটা চালসহ সব ধরনের চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সর্বত্র মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনকে একেবারেই অতিষ্ঠ করে তুলছে। এর মধ্যে পানির দাম সেপ্টেম্বর থেকে আবারো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোরও পাঁয়তারা চলছে। এভাবে মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে সারা দেশে শ্রমজীবী মানুষই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন রুহিন হোসেন।
রুহিন বলেন, সঙ্কটকালে দেশের লক্ষাধিক চা- শ্রমিক মজুরি বাড়ানোর জন্য দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করলেও মালিক-সরকার সময়ক্ষেপণ করে দাবি অগ্রাহ্য করে চলছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে চা-শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরিসহ সাত দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকার ও মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির শহীদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।