সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যতদিন মানুষের প্রয়োজন ততদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। সাহায্য সহযোগিতা যত আসবে সেই সহযোগিতা যত দূরেই হোক তা পৌঁছে দেয়ার জন্য চেষ্টা করবে। তার মতে, সেনাবাহিনী এখন ত্রাণ নিয়ে যতদূরে পৌঁছাতে পেরেছে, দুইদিন পর আরো দূরে পৌছে যাবে। পাশাপাশি হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষও উদ্ধার করে নিয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা জানান।
জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, এখন সেনাবাহিনীর গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ চলছে। সিলেট এলাকার জন্য এবং বন্যার্তদের কাজে নিয়োজিত যেসব সেনাসদস্য রয়েছেন তাদেরকে প্রশিক্ষণ থেকে বাদ দিয়ে দিছি। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পূনর্বাসনের বিষয়গুলো সর্বোচ্চ মহলে আলোচনা হয়েছে। বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী যে অসুবিধা আসবে সেগুলো কাটিয়ে উঠার জন্য সরকারের যেসকল মন্ত্রণালয় রয়েছে সেগুলো কাজ করছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে আমাদেরও যেটা করণীয় আমরা সেটা করবো। প্রয়োজনে আমাদের মেডিকেল টিম আসবে, আমাদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছি আমরা। মানুষের যতটা সম্ভব চিকিৎসাসহ অন্যান্য যা কিছু লাগে ইনশাল্লাহ দিবো।
তিনি বলেন, জাতীয় দুর্যোগ জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দুর্যোগকে সাহস নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এখনো অনেক পানিবন্দি আছে। বাংলাদেশ এমন সক্ষমতার জায়গায় পৌঁছেছে যে এর চেয়ে বড় দুর্যোগও মোকাবিলা করতে পারব আমরা। দুর্যোগ এসেছে সেটা সাহস, ধৈর্য্য এবং আন্তরিকতার সাথে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো মানুষের জীবন বাঁচানো। দ্বিতীয়ত তাদের স্বাস্থ্য এবং অন্য বিষয়গুলো খেয়াল রাখা। এসময় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত উপস্থিত ছিলেন। গত ১৬ জুন থেকে সুনামগঞ্জে বন্যা শুরু হলে ১১ উপজেলার প্রতিটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এক সপ্তাহে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সহায়-সম্বলহীন মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বানের পানি নামতে শুরু করলেও আশ্রয় কেন্দ্র থেকে সবাই এখনও বাড়িঘরে ফিরতে পারেনি। যারা ফিরতে শুরু করেছেন, তাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে নতুন করে সংসার গোছানোর।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।